ঢাকা 3:41 pm, Wednesday, 18 June 2025

সীমান্তে ১৫০০ সেনা, উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:38:38 am, Thursday, 23 January 2025
  • 46 Time View

টেক্সাসে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে পাহারায় মার্কিন সেনাসদস্যরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ জন সেনাসদস্য, উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এরই মধ্যে দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়াগো শহর ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো শহরে সেনাবাহিনীর ১ হাজার সদস্য এবং মেরিন বাহিনীর ৫০০ জন সদস্যকে পাঠানো হবে।

এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর দুটি সি-১৭ উড়োজাহাজ, দুটি সি-১৩০ উড়োজাহাজ এবং হেলিকপ্টারও মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট স্যালেসেস বলেছেন, ৫ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর কাজে সহায়তার জন্য সামরিক উড়োজাহাজ দেবে প্রতিরক্ষা দপ্তর।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের জন্য তৈরি থাকতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আগে থেকেই প্রায় ২ হাজার ২০০ সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর কাজে সহায়তা করেন।

সোমবার ক্ষমতায় বসার পরপরই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেন ট্রাম্প। ওই আদেশের ফলে সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পথ খুলেছিল। গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে ক্ষমতায় বসার দিনই পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

বুধবারও অবৈধ অভিবাসী-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ওই আদেশে দক্ষিণ সীমান্ত থেকে অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়িত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এই আদেশের বিষয়ে বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে লেভিট বলেন, ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের খবর সত্য। দক্ষিণ সীমান্তে অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ সেনাসদস্য পাঠানোর খবরও নিশ্চিত করেন তিনি।

সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ট্রাম্প। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সীমান্তে আসার কথা ভাবছেন, তাঁদেরও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে, গ্রেপ্তার করা হবে, বিচার করা হবে। (যুক্তরাষ্ট্রে) আসবেন না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাইলেন ট্রাম্প

সীমান্তে ১৫০০ সেনা, উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

Update Time : 06:38:38 am, Thursday, 23 January 2025

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ জন সেনাসদস্য, উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এরই মধ্যে দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ডিয়াগো শহর ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো শহরে সেনাবাহিনীর ১ হাজার সদস্য এবং মেরিন বাহিনীর ৫০০ জন সদস্যকে পাঠানো হবে।

এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর দুটি সি-১৭ উড়োজাহাজ, দুটি সি-১৩০ উড়োজাহাজ এবং হেলিকপ্টারও মেক্সিকো সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট স্যালেসেস বলেছেন, ৫ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর কাজে সহায়তার জন্য সামরিক উড়োজাহাজ দেবে প্রতিরক্ষা দপ্তর।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের জন্য তৈরি থাকতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আগে থেকেই প্রায় ২ হাজার ২০০ সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর কাজে সহায়তা করেন।

সোমবার ক্ষমতায় বসার পরপরই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেন ট্রাম্প। ওই আদেশের ফলে সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পথ খুলেছিল। গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে ক্ষমতায় বসার দিনই পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

বুধবারও অবৈধ অভিবাসী-সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ওই আদেশে দক্ষিণ সীমান্ত থেকে অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়িত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এই আদেশের বিষয়ে বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে লেভিট বলেন, ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের খবর সত্য। দক্ষিণ সীমান্তে অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ সেনাসদস্য পাঠানোর খবরও নিশ্চিত করেন তিনি।

সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ট্রাম্প। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সীমান্তে আসার কথা ভাবছেন, তাঁদেরও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে, গ্রেপ্তার করা হবে, বিচার করা হবে। (যুক্তরাষ্ট্রে) আসবেন না।’