ঢাকা 9:04 am, Wednesday, 18 June 2025

গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক আজ

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:24:47 am, Thursday, 16 January 2025
  • 49 Time View

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং চারজন উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

সর্বদলীয় এই বৈঠকের সময় ও স্থানের কথা জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এই বৈঠক আহ্বান করেছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তবে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সর্বদলীয় এ বৈঠকের ব্যাপারে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রাত ১০টার পর বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে সর্বদলীয় এ বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে কয়েকটি দলের নেতারা জানিয়েছেন। এখন বৈঠকে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে দলগুলো।

দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে বলেন, দলে আলোচনা করে ওই বৈঠকে যাওয়া না-যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। অন্য দল ও জোটগুলোর নেতাদের কাছ থেকেও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে বৈঠক ডেকেছে, সে ব্যাপারে রাত ১০টার পর আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক নেতা সাইফুল হক বলেন, হঠাৎ আলোচনায় বসে ঘোষণাপত্র তৈরি করা যায় না। এ জন্য বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু অল্প সময়ের নোটিশে কোনো বৈঠক ডাকা হলে তাতে আলোচনায় তেমন ফল হবে না। তিনি জানান, আজ বেলা ১১টায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের একটি বৈঠক রয়েছে। সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে গণতন্ত্র মঞ্চের আজকের সভায় তাঁরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জামায়াতে ইসলামীও রাত ১০টার পর সর্বদলীয় বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল রাতে বলেন, সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে চান তাঁরা। তবে দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হয়। সে প্রেক্ষাপটে এই দুটি সংগঠনের নেতারা গতকাল রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে তাঁদের কার্যালয়ে নিজেরা বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তাদের দুটি সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে। সেখানে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে অবিলম্বে ঘোষণাপত্র করার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্রকারের কালক্ষেপণ ও গড়িমসি ছাত্র-জনতা বরদাশত করবে না। কালক্ষেপণ হলে দ্রুতই সারা দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা বলেছিলেন। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সে দিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।’ তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে।

ছাত্রদের ঘোষণাপত্র অবলম্বনে গত ১২-১৩ দিনে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে খসড়া ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। বিএনপি, জামায়াত, নারী সংগঠন, শিক্ষকসংগঠন ও ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সবাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার বিষয়ে একমত।

তবে বৈঠকে আলোচনার জন্য ঘোষণাপত্রের খসড়াও অনেক দলের কাছে পৌঁছায়নি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ঘোষণাপত্রের খসড়া পেয়েছে। তবে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতারা বলেছেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্রের খসড়া পাননি।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, ঘোষণাপত্রের যে খসড়া তাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাতে সংবিধানের অনেক বিষয় রয়েছে। এসব নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন এবং সে জন্য সময় লাগবে। অল্প সময়ে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে দলটির নেতারা মনে করেন।

আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে চারজন উপদেষ্টা থাকবেন। তাঁরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সূত্র: প্রথম আলো

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষার একমাত্র ভরসা রামেক-এর পিসিআর ল্যাব

গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র: প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক আজ

Update Time : 09:24:47 am, Thursday, 16 January 2025

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং চারজন উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

সর্বদলীয় এই বৈঠকের সময় ও স্থানের কথা জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এই বৈঠক আহ্বান করেছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তবে গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সর্বদলীয় এ বৈঠকের ব্যাপারে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। রাত ১০টার পর বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে সর্বদলীয় এ বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে কয়েকটি দলের নেতারা জানিয়েছেন। এখন বৈঠকে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে দলগুলো।

দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে বলেন, দলে আলোচনা করে ওই বৈঠকে যাওয়া না-যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। অন্য দল ও জোটগুলোর নেতাদের কাছ থেকেও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে বৈঠক ডেকেছে, সে ব্যাপারে রাত ১০টার পর আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক নেতা সাইফুল হক বলেন, হঠাৎ আলোচনায় বসে ঘোষণাপত্র তৈরি করা যায় না। এ জন্য বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু অল্প সময়ের নোটিশে কোনো বৈঠক ডাকা হলে তাতে আলোচনায় তেমন ফল হবে না। তিনি জানান, আজ বেলা ১১টায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের একটি বৈঠক রয়েছে। সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে অংশ নেওয়া না-নেওয়ার ব্যাপারে গণতন্ত্র মঞ্চের আজকের সভায় তাঁরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জামায়াতে ইসলামীও রাত ১০টার পর সর্বদলীয় বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল রাতে বলেন, সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিতে চান তাঁরা। তবে দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হয়। সে প্রেক্ষাপটে এই দুটি সংগঠনের নেতারা গতকাল রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে তাঁদের কার্যালয়ে নিজেরা বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তাদের দুটি সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে। সেখানে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে অবিলম্বে ঘোষণাপত্র করার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্রকারের কালক্ষেপণ ও গড়িমসি ছাত্র-জনতা বরদাশত করবে না। কালক্ষেপণ হলে দ্রুতই সারা দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা বলেছিলেন। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘বৃহস্পতিবার এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সে দিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।’ তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে।

ছাত্রদের ঘোষণাপত্র অবলম্বনে গত ১২-১৩ দিনে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে খসড়া ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। বিএনপি, জামায়াত, নারী সংগঠন, শিক্ষকসংগঠন ও ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সবাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার বিষয়ে একমত।

তবে বৈঠকে আলোচনার জন্য ঘোষণাপত্রের খসড়াও অনেক দলের কাছে পৌঁছায়নি। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ঘোষণাপত্রের খসড়া পেয়েছে। তবে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের নেতারা বলেছেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্রের খসড়া পাননি।

বিএনপির নেতারা বলেছেন, ঘোষণাপত্রের যে খসড়া তাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাতে সংবিধানের অনেক বিষয় রয়েছে। এসব নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন এবং সে জন্য সময় লাগবে। অল্প সময়ে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে দলটির নেতারা মনে করেন।

আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে চারজন উপদেষ্টা থাকবেন। তাঁরা হলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সূত্র: প্রথম আলো