ঢাকা 3:41 am, Tuesday, 17 June 2025

জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:56:24 pm, Wednesday, 21 May 2025
  • 9 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: কেউ কেউ জন্মান মানুষের জন্য, আলোর পথ দেখাতে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বিলাতে। জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম সিদ্দিক ছিলেন ঠিক তেমনই একজন মানুষ, যিনি গত ১৮ মার্চ পৃথিবীর সব আলো-আঁধারিকে পেছনে ফেলে চিরবিদায় নেন। আজ তাঁর স্মরণে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল যেন হয়ে উঠেছিল ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা আর অশ্রুজলের মিলনমঞ্চ।

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির হাল ধরেছিলেন তিনি ১৯৯৫ সালে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করে গেছেন দৃঢ়তা, সততা আর মমতায়। তিনি ছিলেন দৃষ্টি হারানো মানুষের চোখ, ছিলেন তাঁদের আত্মবিশ্বাস, সাহস আর আশ্রয়। তাঁর একেকটি সিদ্ধান্ত, একেকটি পদক্ষেপ যেন শত শত জীবনে নতুন করে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে।

দোয়া মাহফিলের আয়োজনে ছিলেন সংস্থার সেক্রেটারি আইয়ুব আলী হাওলাদার। প্রথমেই কুরআন তিলাওয়াত, তারপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এরপর যখন শুরু হয় মোনাজাত — কান্না চেপে রাখা যায়নি কারও। উপস্থিত সকলে দু’হাত তুলে প্রিয় চেয়ারম্যানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। অনেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে থেমে যান মাঝপথে—কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে, চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু।

“তিনি শুধু আমাদের নেতা ছিলেন না, ছিলেন আমাদের পিতা। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর আদর্শ, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ।” — বলেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা।

এই শোক সহজে কাটবে না। তবে তাঁর দেখানো পথেই সংস্থাটি এগিয়ে যাবে — এটিই আজকের প্রতিটি চোখ ভেজা মানুষদের প্রতিশ্রুতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম সিদ্দিকের স্মরণে দোয়া

Update Time : 08:56:24 pm, Wednesday, 21 May 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: কেউ কেউ জন্মান মানুষের জন্য, আলোর পথ দেখাতে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বিলাতে। জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম সিদ্দিক ছিলেন ঠিক তেমনই একজন মানুষ, যিনি গত ১৮ মার্চ পৃথিবীর সব আলো-আঁধারিকে পেছনে ফেলে চিরবিদায় নেন। আজ তাঁর স্মরণে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল যেন হয়ে উঠেছিল ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা আর অশ্রুজলের মিলনমঞ্চ।

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির হাল ধরেছিলেন তিনি ১৯৯৫ সালে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করে গেছেন দৃঢ়তা, সততা আর মমতায়। তিনি ছিলেন দৃষ্টি হারানো মানুষের চোখ, ছিলেন তাঁদের আত্মবিশ্বাস, সাহস আর আশ্রয়। তাঁর একেকটি সিদ্ধান্ত, একেকটি পদক্ষেপ যেন শত শত জীবনে নতুন করে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে।

দোয়া মাহফিলের আয়োজনে ছিলেন সংস্থার সেক্রেটারি আইয়ুব আলী হাওলাদার। প্রথমেই কুরআন তিলাওয়াত, তারপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এরপর যখন শুরু হয় মোনাজাত — কান্না চেপে রাখা যায়নি কারও। উপস্থিত সকলে দু’হাত তুলে প্রিয় চেয়ারম্যানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। অনেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে থেমে যান মাঝপথে—কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে, চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু।

“তিনি শুধু আমাদের নেতা ছিলেন না, ছিলেন আমাদের পিতা। তিনি চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর আদর্শ, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ।” — বলেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা।

এই শোক সহজে কাটবে না। তবে তাঁর দেখানো পথেই সংস্থাটি এগিয়ে যাবে — এটিই আজকের প্রতিটি চোখ ভেজা মানুষদের প্রতিশ্রুতি।