ঢাকা 11:12 pm, Monday, 16 June 2025

বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:21:26 pm, Thursday, 5 June 2025
  • 11 Time View

লম্বা ছুটির প্রথম দিন আজ। সকাল থেকেই ঢাকা শহরে ছিল মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি। এ অবস্থার মধ্যে গরু কেনার জন্য এক হাট থেকে আরেক হাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্রেতারা। কিন্তু বাড়তি দামের আশায় বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। যে গরুর দাম এক লাখের নিচে সেগুলো তারা চাচ্ছেন ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা। গরু কেনার জন্য ক্রেতারা দাম বললেও বিক্রেতারা তাতে সায় দিচ্ছেন না। সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাটে গিয়ে এ অবস্থা দেখা গেছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর হাটগুলো। চলছে দার কষাকষি, দামে মিললেই পছন্দের পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।

তবে আজ সকাল থেকেই গরু বিক্রির হার ছিল অনেক কম। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই।
রাজধানীর পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হাটে মিলছে নানা জাতের গরু; এছাড়া খাসি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। কোথাও কোথাও দেখা মিলছে উট-দুম্বারও। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা।

খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ১ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরু কেনায় বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। তবে বড় আকারের গরু-ছাগলের প্রতি আগ্রহ অনেক কম। আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় বিক্রেতারা যেমন গরু ছাড়ছেন না তেমনি দামে একটু কম পাওয়ার আশায় ক্রেতারাও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
রাজধানীর লালবাগের রহমতগঞ্জ হাটে আসা এক ক্রেতা জানান, তিন ঘণ্টা যাবৎ তিনি গরুর দরদাম করছেন। কিন্তু বিক্রেতারা যথাযথ দাম পেয়েও গরু ছাড়ছেন না।

এদিকে একই হাটে ফরিদপুর থেকে আসা সালামত নামে এক গরু বিক্রেতা জানান, আজ থেকে মাত্র গরু বিক্রি শুরু হয়েছে তাই দুইটা পয়সা বেশি বিক্রির আশায় তারা এখনই কম দামে গরু ছাড়তে রাজি নন। বৃষ্টি না হলে গরুর সঠিক দাম পাওয়া যাবে।’

বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতাদের অনেকে।

গাবতলীর পশুর হাটের ইজারাদাররা জানান, এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তবে কিছু কিছু ক্রেতা বলছেন, এখনো পশুর দাম কিছুটা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় ছোট ও মাঝারিগুলোর দামও তুলনামূলক বেশি।

এবার রাজধানীর ২১টি স্থানে পশুর হাট বসেছে। এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসছে হাটে। ঈদের দিন পর্যন্ত এই কেনাকাটা চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র:বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম

Update Time : 10:21:26 pm, Thursday, 5 June 2025

লম্বা ছুটির প্রথম দিন আজ। সকাল থেকেই ঢাকা শহরে ছিল মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি। এ অবস্থার মধ্যে গরু কেনার জন্য এক হাট থেকে আরেক হাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্রেতারা। কিন্তু বাড়তি দামের আশায় বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। যে গরুর দাম এক লাখের নিচে সেগুলো তারা চাচ্ছেন ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা। গরু কেনার জন্য ক্রেতারা দাম বললেও বিক্রেতারা তাতে সায় দিচ্ছেন না। সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে এ অবস্থা। আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গরুর হাটে গিয়ে এ অবস্থা দেখা গেছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর হাটগুলো। চলছে দার কষাকষি, দামে মিললেই পছন্দের পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।

তবে আজ সকাল থেকেই গরু বিক্রির হার ছিল অনেক কম। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই।
রাজধানীর পশুর হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, হাটে মিলছে নানা জাতের গরু; এছাড়া খাসি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। কোথাও কোথাও দেখা মিলছে উট-দুম্বারও। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি। আর বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা।

খামারিরা বলছেন, হাটে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ১ থেকে ২ লাখ টাকা মূল্যের ছোট ও মাঝারি আকারের গরু কেনায় বেশি আগ্রহ ক্রেতাদের। তবে বড় আকারের গরু-ছাগলের প্রতি আগ্রহ অনেক কম। আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় বিক্রেতারা যেমন গরু ছাড়ছেন না তেমনি দামে একটু কম পাওয়ার আশায় ক্রেতারাও তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
রাজধানীর লালবাগের রহমতগঞ্জ হাটে আসা এক ক্রেতা জানান, তিন ঘণ্টা যাবৎ তিনি গরুর দরদাম করছেন। কিন্তু বিক্রেতারা যথাযথ দাম পেয়েও গরু ছাড়ছেন না।

এদিকে একই হাটে ফরিদপুর থেকে আসা সালামত নামে এক গরু বিক্রেতা জানান, আজ থেকে মাত্র গরু বিক্রি শুরু হয়েছে তাই দুইটা পয়সা বেশি বিক্রির আশায় তারা এখনই কম দামে গরু ছাড়তে রাজি নন। বৃষ্টি না হলে গরুর সঠিক দাম পাওয়া যাবে।’

বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও দরদামে না মেলায় বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে এসব গরুর বেশিরভাগ ফেরত নিয়ে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতাদের অনেকে।

গাবতলীর পশুর হাটের ইজারাদাররা জানান, এখন পর্যন্ত পশুর হাট স্থিতিশীল রয়েছে। পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তবে কিছু কিছু ক্রেতা বলছেন, এখনো পশুর দাম কিছুটা বেশি। চাহিদা বেশি থাকায় ছোট ও মাঝারিগুলোর দামও তুলনামূলক বেশি।

এবার রাজধানীর ২১টি স্থানে পশুর হাট বসেছে। এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশু আসছে হাটে। ঈদের দিন পর্যন্ত এই কেনাকাটা চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র:বাসস