ঢাকা 3:21 am, Wednesday, 18 June 2025

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:12:05 pm, Sunday, 18 May 2025
  • 12 Time View

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনএসি) আজ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপার্সন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ও অনুদান হিসেবে আসবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা যুক্ত করলে, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট এডিপির আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অনুমোদিত এডিপি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নতুন বাজেটের অংশ, যা ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা করবেন।

ড. মাহমুদ বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল কৌশল হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা, মুল্যস্ফীতি হ্রাস করা, বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাজেটকে টেকসই করা।
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে দেশি বা বিদেশি ঋণের ফাঁদে না পড়ে ঋণ পরিশোধে বা উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় মেটাতে যেন অতিরিক্ত চাপ না হয় তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। আমরা অতিতে যে দুষ্টচক্রে পড়েছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

রাতারাতি রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, তা সত্ত্বেও সরকার বাজেট ঘাটতি জিডিপির চার শতাংশের মধ্যে রেখে ব্যয় সমান রাখার চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হঠাৎ করে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমাতে পারবে না।
ড. মাহমুদ বলেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছাড়াও এই বাজেট ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বাজেট হবে না যেখানে স্বল্পমেয়াদে সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন কোনও ব্যয় করা হবে না যা পরবর্তীতে দায় বাড়িয়ে দিতে পারে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প ছাড়া নতুন কোনো মেগা প্রকল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নতুন এডিপিতে নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, কিছু অসুবিধা সত্ত্বেও সরকার উন্নয়ন অংশীদার এবং বিদেশি পক্ষগুলোর কাছে বছরের পর বছর ধরে বকেয়া পাওনা ধীরে ধীরে পরিশোধ করছে।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বছর এটি কম হবে কারণ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে অনেক প্রকল্প যাচাই-বাছাই করেছে, বরাদ্দ কমিয়েছে, তহবিলের অপব্যবহার রোধ করেছে যার ফলে বাস্তবায়নের ধারা কিছুটা ধীর হয়ে গেছে।

পায়রা বন্দর, কর্ণফুলী টানেল এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) এর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে প্রকৃত ফলাফল বিবেচনা না করেই পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছিল।

আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।

নতুন এডিপি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে প্রণীত হয়েছে।

এছাড়াও, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি, পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং অঞ্চলভিত্তিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের মতো খাতগুলোকে নতুন এডিপিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ৫৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩২ হাজার ৩৯২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা (১৪ দশমিক ৮ শতাংশ), শিক্ষা খাত ২৮ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৪২ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত ২২ হাজার ৭৭৬ দশমিক ৪০ কোটি টাকা (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্য খাত ১৮ হাজার ১৪৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।

এই পাঁচটি খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ৫৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩২ হাজার ৩৯২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা (১৪ দশমিক ৮ শতাংশ), শিক্ষা খাত ২৮ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৪২ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত ২২ হাজার ৭৭৬ দশমিক ৪০ কোটি টাকা (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্য খাত ১৮ হাজার ১৪৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।

এই পাঁচটি খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
নতুন এডিপিতে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৯৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১৯টি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প, ৯৯টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং ৬০টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প রয়েছে।

প্রস্তাবিত এডিপিতে ৭৯টি প্রকল্প পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য রাখা হয়েছিল এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়নের জন্য ২২৮টি প্রকল্প রাখা হয়েছিল।

এছাড়া, নতুন এডিপিতে ২৫৮টি প্রকল্প আবশ্যিকভাবে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ২১২টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১১টি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প, ১৮টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং ১৭টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প।
সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র:বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষার একমাত্র ভরসা রামেক-এর পিসিআর ল্যাব

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

Update Time : 10:12:05 pm, Sunday, 18 May 2025

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনএসি) আজ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রেখে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপার্সন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ও অনুদান হিসেবে আসবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা যুক্ত করলে, আগামী অর্থবছরের জন্য মোট এডিপির আকার দাঁড়াবে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৯ দশমিক ৭১ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অনুমোদিত এডিপি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নতুন বাজেটের অংশ, যা ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা করবেন।

ড. মাহমুদ বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল কৌশল হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা, মুল্যস্ফীতি হ্রাস করা, বাজেট ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাজেটকে টেকসই করা।
তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে দেশি বা বিদেশি ঋণের ফাঁদে না পড়ে ঋণ পরিশোধে বা উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় মেটাতে যেন অতিরিক্ত চাপ না হয় তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। আমরা অতিতে যে দুষ্টচক্রে পড়েছিলাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

রাতারাতি রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, তা সত্ত্বেও সরকার বাজেট ঘাটতি জিডিপির চার শতাংশের মধ্যে রেখে ব্যয় সমান রাখার চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হঠাৎ করে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমাতে পারবে না।
ড. মাহমুদ বলেন, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছাড়াও এই বাজেট ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বাজেট হবে না যেখানে স্বল্পমেয়াদে সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন কোনও ব্যয় করা হবে না যা পরবর্তীতে দায় বাড়িয়ে দিতে পারে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প ছাড়া নতুন কোনো মেগা প্রকল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নতুন এডিপিতে নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, কিছু অসুবিধা সত্ত্বেও সরকার উন্নয়ন অংশীদার এবং বিদেশি পক্ষগুলোর কাছে বছরের পর বছর ধরে বকেয়া পাওনা ধীরে ধীরে পরিশোধ করছে।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বছর এটি কম হবে কারণ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে অনেক প্রকল্প যাচাই-বাছাই করেছে, বরাদ্দ কমিয়েছে, তহবিলের অপব্যবহার রোধ করেছে যার ফলে বাস্তবায়নের ধারা কিছুটা ধীর হয়ে গেছে।

পায়রা বন্দর, কর্ণফুলী টানেল এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) এর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে প্রকৃত ফলাফল বিবেচনা না করেই পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এই প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছিল।

আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপির আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।

নতুন এডিপি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে প্রণীত হয়েছে।

এছাড়াও, কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি, পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং অঞ্চলভিত্তিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের মতো খাতগুলোকে নতুন এডিপিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ৫৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩২ হাজার ৩৯২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা (১৪ দশমিক ৮ শতাংশ), শিক্ষা খাত ২৮ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৪২ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত ২২ হাজার ৭৭৬ দশমিক ৪০ কোটি টাকা (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্য খাত ১৮ হাজার ১৪৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।

এই পাঁচটি খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত ৫৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩২ হাজার ৩৯২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা (১৪ দশমিক ৮ শতাংশ), শিক্ষা খাত ২৮ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা (১২ দশমিক ৪২ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত ২২ হাজার ৭৭৬ দশমিক ৪০ কোটি টাকা (৯ দশমিক ৯০ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্য খাত ১৮ হাজার ১৪৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।

এই পাঁচটি খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ৭০ শতাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
নতুন এডিপিতে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৯৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১৯টি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প, ৯৯টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং ৬০টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প রয়েছে।

প্রস্তাবিত এডিপিতে ৭৯টি প্রকল্প পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য রাখা হয়েছিল এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়নের জন্য ২২৮টি প্রকল্প রাখা হয়েছিল।

এছাড়া, নতুন এডিপিতে ২৫৮টি প্রকল্প আবশ্যিকভাবে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ২১২টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ১১টি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প, ১৮টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প এবং ১৭টি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প।
সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র:বাসস