মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
‘ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে হত্যা চেষ্টার সময়ে গলায় যে ইঞ্জুরি হয়েছে, সেটার জন্য তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। শরীরে জ্বর আছে এবং নিউমোনিয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’
শিশুটির জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য পেডিয়াট্রিক, সার্জারি, অ্যানেস্থেশিয়া ও গাইনি বিভাগের চার চিকিৎসককে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তাকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির মামা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তাররা রাতেই লাইফ সাপোর্টে নিয়েছেন। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করছি।’
এদিকে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।