ঢাকা 4:57 pm, Tuesday, 17 June 2025

সাত মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৩.৬০%

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:13:36 am, Monday, 3 February 2025
  • 32 Time View

অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক দুঃসংবাদ দিলেও আবারও সুসংসবাদ এসেছে রেমিটেন্সে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে প্রবাসীরা ১৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সময়ে দেশে এসেছিল ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।

এ নিয়ে টানা ছয় মাস দুই বিলিয়নের ওপর রেমিটেন্স দেশে পাঠালেন প্রবাসীরা।

আগের মাস ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা একক মাসে সাড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

২০২০ সালের জুলাই মাসের পর এক মাসে বৈধ পথে এত বেশি প্রবাসী আয় পাঠাননি প্রবাসীরা। ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের।

সিটিজেনস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, “ডিসেম্বরে রেমিটেন্স বেশি এসেছে, কারণ নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রবাসীরা দেশে বেশি টাকা পাঠায়।

“তাই জানুয়ারি মাসে যা এসেছে তা আমি কম মনে করি না। ২ বিলিয়ন পার করেছে রেমিটেন্স, এটা ইতিবাচক।”

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রেমিটেন্স আসা কমার ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ব্যাংকের একজন ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করেন, “রেমিটেন্স আসা কমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের জন্য। কারণ ডিসেম্বরে প্রতি ডলারের ১২৭-১২৮ টাকা করে দিত। তাতে রেমিটেন্স আসা বেড়েছিল।

“গভর্নর সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ডেকে এনে ১২৩ টাকার বেশি দরে রেমিটেন্স বিক্রি না করার নির্দেশনা দেয়। তাই রেমিটেন্স প্রবাহ আগের মাসের মতো হয়নি।”

ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ টাকা দরেও রেমিটেন্স কিনেছে বলে খবরে এসেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ঠিক করে দেয়।

দর বাড়তে থাকায় বেশ কয়েক মাস ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ওই পদক্ষেপের পর আবার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

এমন প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ব্যবধান (স্প্রেড) এক টাকা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি।

এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষার একমাত্র ভরসা রামেক-এর পিসিআর ল্যাব

সাত মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৩.৬০%

Update Time : 09:13:36 am, Monday, 3 February 2025

অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক দুঃসংবাদ দিলেও আবারও সুসংসবাদ এসেছে রেমিটেন্সে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে প্রবাসীরা ১৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সময়ে দেশে এসেছিল ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এসেছিল ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।

এ নিয়ে টানা ছয় মাস দুই বিলিয়নের ওপর রেমিটেন্স দেশে পাঠালেন প্রবাসীরা।

আগের মাস ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা একক মাসে সাড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।

২০২০ সালের জুলাই মাসের পর এক মাসে বৈধ পথে এত বেশি প্রবাসী আয় পাঠাননি প্রবাসীরা। ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের।

সিটিজেনস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বলেন, “ডিসেম্বরে রেমিটেন্স বেশি এসেছে, কারণ নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রবাসীরা দেশে বেশি টাকা পাঠায়।

“তাই জানুয়ারি মাসে যা এসেছে তা আমি কম মনে করি না। ২ বিলিয়ন পার করেছে রেমিটেন্স, এটা ইতিবাচক।”

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রেমিটেন্স আসা কমার ব্যাখ্যা দিয়ে একটি ব্যাংকের একজন ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করেন, “রেমিটেন্স আসা কমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের জন্য। কারণ ডিসেম্বরে প্রতি ডলারের ১২৭-১২৮ টাকা করে দিত। তাতে রেমিটেন্স আসা বেড়েছিল।

“গভর্নর সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের ডেকে এনে ১২৩ টাকার বেশি দরে রেমিটেন্স বিক্রি না করার নির্দেশনা দেয়। তাই রেমিটেন্স প্রবাহ আগের মাসের মতো হয়নি।”

ডলারের দর বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১২৮ টাকায় উঠে যায়। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ টাকা দরেও রেমিটেন্স কিনেছে বলে খবরে এসেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ঠিক করে দেয়।

দর বাড়তে থাকায় বেশ কয়েক মাস ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ওই পদক্ষেপের পর আবার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।

এমন প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ব্যবধান (স্প্রেড) এক টাকা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি।

এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।