আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে গতকালের মতো কুয়াশা নেই। সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। দেশের অনেক স্থানেই কুয়াশা আজ অপেক্ষকৃত কম। তারপরও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নিতে দেখা গেছে আজ সকালে।

আজ এত শীতের কারণ, গতকাল বুধবার রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়া। আজ দেশের অন্তত পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আবার রাজধানীতে তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আজ রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। এ কারণে আগামীকাল শুক্রবার শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান. ‘আজ দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে চারটি জেলাই উত্তরবঙ্গের। এসব জেলার মধ্যে আছে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা।’

কোনো অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তবে সেই স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।
আজ নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন দেশের ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য তুলে ধরে। দেখা গেছে, এসব স্টেশনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আছে, অর্থাৎ শীতের তীব্রতা রয়ে গেছে দেশের প্রায় সর্বত্র।

গতকালের চেয়ে আজ কমে গেছে রাজধানীর তাপমাত্রা। আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলছিলেন, ‘আজ দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। তবে রাতের তাপমাত্রা আবারও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। আর তাতে আগামীকাল শীতের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি ঘটতে পারে।’