অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালীন বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় সংকোচন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ রয়েছে। এই পাঁচ বিভাগের মোট ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪৬,৩০৮.০৪ কোটি টাকা।
বুধবার (৪ জুন) সকালে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সরকার কী করছে? প্রায়ই শুনি। আমরা বলি, তবু অনেকেই মানতে চান না। আজ মনে হলো একটা উদাহরণ সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ সবাইকে জানানো দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনঃমূল্যয়ন করে দেখা গেছে যে প্রায় সব প্রকল্পেই অযৌক্তিকভাবে ইস্টিমেটেড ব্যয় বা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকার এই খরচ কমিয়ে এনেছে।’
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৮৫৪.৩২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৮ হাজার ৩৬.৯০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ৭ হাজার ৪৫৪.৩১ কোটি টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ব্যয় সংকোচন ১২ হাজার ৪২৫.৫১ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে এই পাঁচ বিভাগের মোট ব্যয় সংকোচন হয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৮.০৪ কোটি টাকা।
তিনি লেখেন, এই টাকাটা লুটপাটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরকার জনগণের এ টাকাটা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:বাসস