ঢাকা 10:00 am, Tuesday, 17 June 2025

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:00:26 pm, Sunday, 25 May 2025
  • 10 Time View

বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)-এর মধ্যে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট (বি-স্ট্রং)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে ২০২৪ সালের আগস্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বাঁধ পুনর্গঠন, কৃষকদের পুনর্বাসন, দুর্যোগ প্রতিরোধে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করা হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশ নেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ ৫ (পাঁচ) বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রদেয় হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থ বছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি অব্যাহতি দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক দেশটিকে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে ১৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের ৪৭টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে সংস্থাটি, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
তথ্যসূত্র:বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর

Update Time : 11:00:26 pm, Sunday, 25 May 2025

বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)-এর মধ্যে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট (বি-স্ট্রং)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে ২০২৪ সালের আগস্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও বাঁধ পুনর্গঠন, কৃষকদের পুনর্বাসন, দুর্যোগ প্রতিরোধে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি জোরদার করা হবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশ নেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ ৫ (পাঁচ) বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রদেয় হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থ বছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি অব্যাহতি দিয়ে আসছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক দেশটিকে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে ১৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের ৪৭টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে সংস্থাটি, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
তথ্যসূত্র:বাসস