চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থেকে এক বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি করে দেয়ার ঘটনায় অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে এক বছর বয়নী শিশু রাব্বীকে।
র্যাব জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার তার ৫ বছর বয়সী কণ্যা ও এক বছর বয়সী শিশু পুত্র রাব্বীকে নিয়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গেলে সেখানে দুলাল নামে এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে ফাতেমা আক্তার দুলাল মিয়াকে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের শিডিউলের বিষয়ে জানতে চাইলে দুলাল মিয়া জানায় সেদিন নেত্রকোণাগামী কোন ট্রেন নাই। তখন ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার দুলাল মিয়াকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকায় তাদের বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে দুলাল মিয়া তাদের নিয়ে মহানগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে দুলাল মিয়া ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার’কে কৌশলে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাসুর কলোনীতে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি রুম ভাড়া করে অবস্থান করে। পরর্বতীতে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার সকালের নাস্তা খেয়ে বাথরুমে গেলে এই সুযোগে দুলাল মিয়া ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তারের এক বছর বয়সী শিশু রাব্বীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় মোঃ দুলাল মিয়া’কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করলে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে, এই মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ দুলাল মিয়া কিশোরগঞ্জে অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে র্যাব অভিযান চালিয়ে আসামী দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলায় তাদের পরিচিত এক প্রবাসী দম্পতির কাছে ১ লাখ টাকার বিনিমিয়ে অপহৃত শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সরাইল থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।এসময় মোরশেদ মিয়া নামে আরেক আসামীকেও গ্রেফতার করে র্যাব।