ঢাকা 5:28 pm, Thursday, 19 June 2025
শিরোনাম
ডিবির হারুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহাঙ্গীরের প্লট ক্রোকের আদেশ নতুন আরো তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে ব্রি যশোরে করোনায় ২ জনের মৃত্যু র‌্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৫ হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে শেখ হাসিনার আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে : গুম কমিশন সভাপতি পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে এসএসএফ সদস্যদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান লিবিয়া থেকে ১৫৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে হাসিনা-আসাদুজ্জামানকে আত্মসমর্পণে ট্রাইব্যুনালের নোটিশ

যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে: প্রেস সচিব

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:21:09 pm, Wednesday, 12 February 2025
  • 28 Time View

বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আমরা জেনেছি এটার সংখ্যা ৭০০-৮০০টি। এগুলো শুধু ঢাকায় নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল যে আয়নাঘর পরিদর্শন হচ্ছে না। কিন্তু আমরা আজ ঢাকার তিনটা আয়নাঘর পরিদর্শন করলাম। হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গুম-খুনের পেছনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে জায়গাগুলোতে গেছি, সবগুলোর ছবি দিয়েছি। খুবই ছোট ছোট জায়গা। এগুলো খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের সঙ্গে বিটিভি ও পিআইবির ক্যামেরা ছিল। বাইরের নেত্র নিউজ ও আল-জাজিরা ছিল। তার মধ্যে দুটো র‌্যাবের আর একটি ডিজিএফআইয়ের। সেখানে কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সিন কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটা স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন, তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেন। আমরা সেখানে সবাইকে নিতে পারিনি, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা বিটিভির মাধ্যমে সবগুলো ভিডিও করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা যে জায়গাগুলো গেলাম, সেই জায়গাগুলো খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ইট ভেঙে প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আসলে লজিস্টিক্যাল সাপোর্টের। আমাদের আইডিয়া ছিল, আমরা বিটিভি থেকে দুজন ক্যামেরাম্যান নিয়েছি, পিআইডি থেকে একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। এছাড়া আমরা বিদেশি গণমাধ্যম থেকে নিয়েছি আল-জাজিরা ও নেত্র নিউজকে। আয়নাঘরের বিষয়ে নেত্র নিউজের যথেষ্ট অবদান আছে। তারা এটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, তাই তাদের নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে আমরা নিতে পারিনি। আসলে লজিস্টিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট আছে, সে বিষয়ে গুম কমিশন কাজ করছে। আপনারা যত সময় এগুলোর রেজাল্ট পাবেন।’

আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলামত নষ্ট করা হয়েছে কি হয়েছে না সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে কেসগুলো হচ্ছে সেগুলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটিউররাও সেগুলো দেখছেন। প্রত্যেকটা ‘আয়নাঘর’ এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো লাগবে। গুম কমিশন বলবেন, আদৌ নষ্ট হয়েছে কি হয়নি। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে, প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল দেওয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, সেটা গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তারা বিচার করবেন। আওয়ামী লীগের যারা গুম-খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সবার বিচার হবে। এটাই স্পষ্ট।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে: প্রেস সচিব

Update Time : 06:21:09 pm, Wednesday, 12 February 2025

বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আমরা জেনেছি এটার সংখ্যা ৭০০-৮০০টি। এগুলো শুধু ঢাকায় নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল যে আয়নাঘর পরিদর্শন হচ্ছে না। কিন্তু আমরা আজ ঢাকার তিনটা আয়নাঘর পরিদর্শন করলাম। হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গুম-খুনের পেছনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে জায়গাগুলোতে গেছি, সবগুলোর ছবি দিয়েছি। খুবই ছোট ছোট জায়গা। এগুলো খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের সঙ্গে বিটিভি ও পিআইবির ক্যামেরা ছিল। বাইরের নেত্র নিউজ ও আল-জাজিরা ছিল। তার মধ্যে দুটো র‌্যাবের আর একটি ডিজিএফআইয়ের। সেখানে কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সিন কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে ৭-৮ বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটা স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন, তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেন। আমরা সেখানে সবাইকে নিতে পারিনি, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা বিটিভির মাধ্যমে সবগুলো ভিডিও করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা যে জায়গাগুলো গেলাম, সেই জায়গাগুলো খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ইট ভেঙে প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আসলে লজিস্টিক্যাল সাপোর্টের। আমাদের আইডিয়া ছিল, আমরা বিটিভি থেকে দুজন ক্যামেরাম্যান নিয়েছি, পিআইডি থেকে একজন ফটোগ্রাফার নিয়েছি। আমাদের নিজস্ব প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন। এছাড়া আমরা বিদেশি গণমাধ্যম থেকে নিয়েছি আল-জাজিরা ও নেত্র নিউজকে। আয়নাঘরের বিষয়ে নেত্র নিউজের যথেষ্ট অবদান আছে। তারা এটা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, তাই তাদের নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে আমরা নিতে পারিনি। আসলে লজিস্টিক্যালি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট আছে, সে বিষয়ে গুম কমিশন কাজ করছে। আপনারা যত সময় এগুলোর রেজাল্ট পাবেন।’

আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলামত নষ্ট করা হয়েছে কি হয়েছে না সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে কেসগুলো হচ্ছে সেগুলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটিউররাও সেগুলো দেখছেন। প্রত্যেকটা ‘আয়নাঘর’ এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো লাগবে। গুম কমিশন বলবেন, আদৌ নষ্ট হয়েছে কি হয়নি। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে, প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল দেওয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, সেটা গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তারা বিচার করবেন। আওয়ামী লীগের যারা গুম-খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সবার বিচার হবে। এটাই স্পষ্ট।’