মশার উপদ্রব থেকে জনগণকে বাঁচাতে প্রতিদিন দু’বার করে মশা নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ছিটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ নির্দেশ দেন।
মেয়র বলেন, মশার ঔষধের পূর্বের ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ঔষধ সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে মশার প্রাদুর্ভাবের কারণে, জনগণকে ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে রক্ষায় প্রতিদিন দুই বার মশা নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ছিটানো হচ্ছে।
মেয়র জানান, তিনি নিজে মাঠ পর্যায়ে মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছেন। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে যৌক্তিক কারণ ছাড়া ৭ কর্মদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাকরি হারাবেন।
সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক নির্মিত অস্থায়ী বাঁধের কারণে কোথাও কোথাও হঠাৎ করে পানি উঠে রাস্তা ডুবে যাচ্ছে। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য মেয়র অনুরোধ করেছেন।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে উন্নতি লক্ষ করা গেলেও, আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০০ পিস ফগার মেশিন ও ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ডেঙ্গু ও মশা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক ফগার মেশিন দান করেছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল পরিষ্কারের জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্যাকহোলোডার গাড়ি কেনা হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনগণের মশার কামড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষায় সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।