ঢাকা 7:01 pm, Tuesday, 17 June 2025

দুই ব্যাংককে আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:14:11 pm, Friday, 14 March 2025
  • 21 Time View

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লুট করেছিল। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর জামাই বেলাল আহমেদ। সরকার পতনের পর ব্যাংক দুটির আমানতকারীরা টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে এ দুই ব্যাংককে আবারও টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার দেওয়া হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, দুই ব্যাংক তারল্য সমস্যায় ছিল। বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করেছিল। বৃহস্পতিবার তাদের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ব্যাংক দুটি আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকার তারল্য–সহায়তা দেওয়া হবে। নতুন এই আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ বর্তমান গভর্নরের আমলে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে এভাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া টাকা ছাপিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংককে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণসংক্রান্ত জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হলে গ্রাহকেরা সতর্ক হয়ে পড়েন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে এসব ব্যাংককে ধার দেওয়া শুরু করে, তবে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেনি।

সরকার পতনের পর ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর টাকা ধার দেওয়া শুরু হয়। এখন ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি কীভাবে উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষার একমাত্র ভরসা রামেক-এর পিসিআর ল্যাব

দুই ব্যাংককে আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

Update Time : 02:14:11 pm, Friday, 14 March 2025

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লুট করেছিল। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর জামাই বেলাল আহমেদ। সরকার পতনের পর ব্যাংক দুটির আমানতকারীরা টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে এ দুই ব্যাংককে আবারও টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার দেওয়া হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, দুই ব্যাংক তারল্য সমস্যায় ছিল। বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করেছিল। বৃহস্পতিবার তাদের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ব্যাংক দুটি আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকার তারল্য–সহায়তা দেওয়া হবে। নতুন এই আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ বর্তমান গভর্নরের আমলে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে এভাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া টাকা ছাপিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংককে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণসংক্রান্ত জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হলে গ্রাহকেরা সতর্ক হয়ে পড়েন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে এসব ব্যাংককে ধার দেওয়া শুরু করে, তবে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেনি।

সরকার পতনের পর ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর টাকা ধার দেওয়া শুরু হয়। এখন ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি কীভাবে উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।