ঢাকা 10:53 pm, Monday, 16 June 2025

কলমবিরতি ও ধর্মঘট শেষে লম্বা ছুটি:চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস কমায় কনটেইনার জট তৈরী

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:38:07 pm, Friday, 13 June 2025
  • 1 Time View

কাস্টমসের কলমবিরতি ও পরিবহন ধর্মঘট শেষে ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কনটেইনার জট তৈরী হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ছুটিতে বন্দর সচল থাকলেও ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাস হয়েছে কম।
স্বাভবিক নিয়মে দৈনিক ৪ হাজার কনটেইনার খালাস হলেও ছুটির সময় খালাস হয়েছে চৌদ্দশ’ কনটেইনার। তাই আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা বাড়ছে।ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য খালাস না করলে বন্দরে জট আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্দর কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় এখন কনটেইনার রাখা হয়েছে। এই জায়গাও কমে আসছে। কনটেইনার রাখার জায়গা কমলে পণ্য খালাস কার্যক্রমসহ বন্দর পরিচালন কার্যক্রমে সময় বেশি লাগে। তাতে পণ্য হাতে পেতে ব্যবসায়ীদের সময় লাগবে বেশি।
গত ৪ জুন বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার । বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা ৩৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ছুটির এ সময়ে ৭দিনে জমেছে ১১ হাজার কনটেইনার। এই ৭দিনে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হয়েছে ২৪ হাজার। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা খালাস করে নিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার কনটেইনার। জাহাজ থেকে নামানো সাড়ে ১৪ হাজার কনটেইনার রয়ে গেছে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিন জানান, ঈদের লম্বা ছুটির সময়ের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে। এবার যাতে জট না হয় সে জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, যে কারণে এখন পর্যন্ত বন্দর বড় ধরনের জট তৈরি হয়নি। তবে ব্যবসায়ীরা এখন দ্রুত পণ্য খালাস না করলে কনটেইনারের সংখ্যা বাড়বে। তাতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

কলমবিরতি ও ধর্মঘট শেষে লম্বা ছুটি:চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস কমায় কনটেইনার জট তৈরী

Update Time : 12:38:07 pm, Friday, 13 June 2025

কাস্টমসের কলমবিরতি ও পরিবহন ধর্মঘট শেষে ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কনটেইনার জট তৈরী হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ছুটিতে বন্দর সচল থাকলেও ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাস হয়েছে কম।
স্বাভবিক নিয়মে দৈনিক ৪ হাজার কনটেইনার খালাস হলেও ছুটির সময় খালাস হয়েছে চৌদ্দশ’ কনটেইনার। তাই আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা বাড়ছে।ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য খালাস না করলে বন্দরে জট আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্দর কতৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ জায়গায় এখন কনটেইনার রাখা হয়েছে। এই জায়গাও কমে আসছে। কনটেইনার রাখার জায়গা কমলে পণ্য খালাস কার্যক্রমসহ বন্দর পরিচালন কার্যক্রমে সময় বেশি লাগে। তাতে পণ্য হাতে পেতে ব্যবসায়ীদের সময় লাগবে বেশি।
গত ৪ জুন বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার । বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা ৩৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ছুটির এ সময়ে ৭দিনে জমেছে ১১ হাজার কনটেইনার। এই ৭দিনে বন্দরে আসা জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হয়েছে ২৪ হাজার। এর মধ্যে ব্যবসায়ীরা খালাস করে নিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার কনটেইনার। জাহাজ থেকে নামানো সাড়ে ১৪ হাজার কনটেইনার রয়ে গেছে বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিন জানান, ঈদের লম্বা ছুটির সময়ের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে। এবার যাতে জট না হয় সে জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, যে কারণে এখন পর্যন্ত বন্দর বড় ধরনের জট তৈরি হয়নি। তবে ব্যবসায়ীরা এখন দ্রুত পণ্য খালাস না করলে কনটেইনারের সংখ্যা বাড়বে। তাতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।