ঢাকা 9:22 am, Tuesday, 17 June 2025

বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়ার পথে

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:00:58 pm, Friday, 16 May 2025
  • 11 Time View

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাতঙ্ক কাটিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক চালকেরা পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে এপথে বাণিজ্য কমিয়েছিলেন।

এরপর যুদ্ধ থামলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি আবার বাড়তে শুরু করে। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪২৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ১৮৭ ট্রাক পণ্য।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর রুট ব্যবহার করে হয়।

সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে অনেক ব্যবসায়ী এ রুটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেন। যুদ্ধ শুরুর দুই দিনের মাথায় আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হলে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফেরে। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে আবার তারা আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু করেন।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাধারণ শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, মেশিনারিজ, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশুখাদ্য ও বিভিন্ন ধরনের মাছ আমদানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, মেলামাইন ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ভারতে রফতানি হয়।

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল আসা ট্রাক চালক রবিন দাস বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে বাড়ির লোকজন ট্রাক নিয়ে সীমান্তে যেতে নিষেধ করেছিল। এখন যুদ্ধের ভয় কেটে যাওয়ায় পণ্য নিয়ে তারা বেনাপোল এসেছেন’।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তবে এখন বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে’।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের বাণিজ্য কমিয়েছিলেন’। পাক-ভারত যুদ্ধে সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ৩০ শতাংশ কমেছিল উল্লেখ তিনি বলেন, ‘ভয় কেটে যাওয়ার পর সবাই আবার বাণিজ্য শুরু করেছে’।
তথ্যসূত্র:বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পাঠক প্রিয়

বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়ার পথে

Update Time : 10:00:58 pm, Friday, 16 May 2025

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাতঙ্ক কাটিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক চালকেরা পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে এপথে বাণিজ্য কমিয়েছিলেন।

এরপর যুদ্ধ থামলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি আবার বাড়তে শুরু করে। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪২৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ১৮৭ ট্রাক পণ্য।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর রুট ব্যবহার করে হয়।

সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে অনেক ব্যবসায়ী এ রুটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেন। যুদ্ধ শুরুর দুই দিনের মাথায় আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হলে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফেরে। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে আবার তারা আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু করেন।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাধারণ শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, মেশিনারিজ, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশুখাদ্য ও বিভিন্ন ধরনের মাছ আমদানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, মেলামাইন ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ভারতে রফতানি হয়।

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল আসা ট্রাক চালক রবিন দাস বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে বাড়ির লোকজন ট্রাক নিয়ে সীমান্তে যেতে নিষেধ করেছিল। এখন যুদ্ধের ভয় কেটে যাওয়ায় পণ্য নিয়ে তারা বেনাপোল এসেছেন’।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তবে এখন বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে’।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের বাণিজ্য কমিয়েছিলেন’। পাক-ভারত যুদ্ধে সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ৩০ শতাংশ কমেছিল উল্লেখ তিনি বলেন, ‘ভয় কেটে যাওয়ার পর সবাই আবার বাণিজ্য শুরু করেছে’।
তথ্যসূত্র:বাসস