কুকুরের তাড়া খেয়ে ৪ দিন ধরে গাছের ঐ মগডালে উঠে আর নামতে পারছিলো না বিড়ালটি। না খেয়ে দূর্বল হয়ে পরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের স্টাফ, শিক্ষার্থীরা যে যার মত করে চেষ্টা চালিয়েছে।
নামাতে গেলেই সে ভয়ে ছুটে আরো পাতলা ডালে ওঠে। কোনোমতেই নামানো যাচ্ছে না। মাঝরাতে পলাশী ফায়ার সার্ভিসকে কল দিতে, তারাও আসলেন। চেষ্টা করলেন। তবুও হলো না।
নিজ কানেই অনেকের উপহাস শুনছিলাম,” মশা মারতে কামান দাগানো, হুদাই, পাগল ছাগলের কাজ কারবার।” আমাদের হলের একজন ক্যান্টিনবয় ইকবাল সাহেব। সে আজকে আমার হিরো তাকে সাহেব বলে সম্বোধন করতে স্বস্তি লাগছে।
সে গাছে উঠতে আগ্রহ প্রকাশ করলো এবং উঠে পাইপ দিয়ে ধাক্কা দিলো। আর নিচে ছোট-বড় ব্যানার পেতে দাঁড়িয়েছে জহু হলের শিক্ষার্থীরা। যাদের কাছে বিড়ালের প্রাণটাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিড়ালটি পরলো। সেফলি ল্যান্ড করেই ভো করে দিলো দৌড়। সেই শিক্ষার্থীরা উল্লাস করে আওয়াজ তুললো যেন বিশ্বকাপ জিতেছে।
রিয়েলাইজ করলাম, লোকের উপহাস শুনে বিড়ালটিকে না নামিয়ে শিক্ষার্থীরা রুমে ফিরে গেলে বিড়ালটির কি হত জানি না।
কিন্তু কান কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বিড়ালের প্রাণ বাঁচানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলো যে সব পাগল উপাধি পাওয়া শিক্ষার্থীরা, তাদের জন্যই বিড়ালটি প্রাণে বাঁচলো এইটা শিওর। আর তাদের জন্যই হয়তো ফকির লালন বলেছেন, ”পাগল৷ ছাড়া দুনিয়া চলে না।”