শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের অকল্যাণ হয় এমন কোনো বিষয় সংশোধিত শ্রম আইনে থাকবে না। শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং সরকারি অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের
পরামর্শ গ্রহণ করে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া করা হবে। খসড়া চূড়ান্ত করার পর আরও কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে এ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের সাথে সভা করে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করে চূড়ান্ত করা হবে।
শ্রম আইন সংশোধন সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ(টিসিসি) এর ৮৪ তম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরে একই কর্মস্থলে যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছে তাদের মোট ২১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বদলি করা হয়। ময়মনসিংহে দেশের ১৪তম শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এছাড়াও তিঁনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি হয়রানি বন্ধে আমরা কাজ করছি।
শ্রম ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এ সভায় সরকার পক্ষ , মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ কর্তৃক শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারা, আইএলও এর পরামর্শ , শ্রমিকদের বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, সমুদ্রগামী নাবিক, শ্রমিকদের লেঅফ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা করা হয়। সকল পক্ষের একমতের ভিত্তিতে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে।
সভায় আইএলও এর প্রতিনিধিবৃন্দ পর্যবেক্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এর সদস্য হিসেবে শ্রমিকপক্ষ , মালিকপক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।